নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস, লেগুনা ও মোটরসাইকেলের (বাইক) মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল আরোহী এক লবণ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন যাত্রীবাহী লেগুনা পরিবহনের দুইজন যাত্রী। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে যাত্রীবাহী অপর বাসের কেউ হতাহত হয়নি।
শনিবার (১৯ মার্চ) রাত পৌনে আটটার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার মালুমঘাট স্টেশনের কাছে হাসিনাপাড়ার একটু উত্তরে এই দুর্ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে। দুর্ঘটনার পর পরই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
নিহত মোটরসাইকেল আরোহী লবণ ব্যবসায়ীর নাম আবদুল মালেক(৫০)। তিনি কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের নজির আহমদের পুত্র।
আহতরা হলেন লেগুনা যাত্রী ঈদগাঁও উপজেলার ফাঁসিয়াখালীর নুরুল কাদেরের পুত্র রাশেদুল ইসলাম(৪০) ও একই এলাকার নুরুল আলমের পুত্র মো. জসীম উদ্দিন(৩৫)। আহত দুইজনই বোট শ্রমিক।
মহাসড়কের মালুমঘাট হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি ইন্সপেক্টর ইমন কান্তি চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করা হয়। তারপর আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পুলিশ। দুর্ঘটনায় পতিত গাড়ি তিনটি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
এ ব্যাপারে মামলা রুজু করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন এবং নিহত মোটরসাইকেল আরোহীর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করতে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, একই স্থানে গত ৮ ফেব্রুয়ারি মর্মান্তিক ও ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রয়াত সুরেশ চন্দ্র শীলের ৬ পুত্র নিহত হয়।
এসময় আহত হয় তাদেরই এক বোন। একসঙ্গে সাত ভাই-বোনকে দ্রুতগামী পিকআপ চাপা দিলে ওইদিন ঘটনাস্থলেই চার ভাই, হাসপাতালে অপর এক ভাই নিহত হয়।
এছাড়া ১৪ দিন পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে অপর ভাই সহ সর্বমোট ৬ ভাই নিহত হয়।
পাঠকের মতামত: